La Nina: মৌসুমী ভবন থেকে আগেই জানানো হয়েছে এবছর বঙ্গে বর্ষা ঢুকছে তাড়াতাড়ি। জুনের প্রথম সপ্তাহতেই বঙ্গে বর্ষার ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এ বছর লা লিনার প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। অন্যদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় এবং নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগর বরাবর সমুদ্রের তাপমাত্রা শীতল হয়ে যাচ্ছে এবং নিরপেক্ষ এল নিনো সাউদার অসিলেশন অবস্থার যে কোনও সময় খুব তাড়াতাড়ি উদ্ভূত হবে। এনসো হল একটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটমান জলবায়ু ঘটনা যা সমুদ্র-বায়ুমণ্ডলের মিথষ্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়। এটি মধ্য এবং পূর্ব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর বরাবর সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে।
La Nina Effect:
জানা গিয়েছে এই এনসোর আবার তিনটি পর্যায় রয়েছে। উষ্ণ অবস্থাটিকে বলে এল নিনো। নিরপেক্ষ অবস্থাকে বলে এনসো এবং শীতল অবস্থায় পরিণত হলে সেটিকে বলে লা নিনা। এনসো বিশ্বব্যাপী আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। এ বছর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রতিবছরের তুলনায় এই বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টি হবে। আর এই অতিবৃষ্টির ফলে দেশের একাধিক রাজ্যে বন্যারও আশঙ্কা রয়েছে। আর এই অতিবৃষ্টির মূলে রয়েছে লা নিনা। এল নিনো যেমন ভারতে তীব্র গ্রীষ্ম এবং অতি দুর্বল বর্ষা তৈরি করে। তেমনি লা নিনা এর ঠিক উল্টো পরিস্থি তৈরি করবে। এটি উপমহাদেশে শক্তিশালী বর্ষা, গড়ের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত এবং তীব্র শীতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
কেরালায় দক্ষিণ-পশ্চিমে আসন্ন মাসগুলিতে লা নিনার প্রভাবে ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একই সঙ্গে লা নিনার প্রভাবে বছরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তাই সাইক্লোজেনেসিসের জন্য লা নিনা সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। এই লা নিনার প্রভাবে এই বছর কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা, ধস এবং মেঘ বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে আবহওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে।