Anurager Chhowa: বহু বছর পর সূর্যের মুখোমুখি হয়েছে দীপা। কিন্তু সূর্য এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে জানে না কোথায় ছিল, কি করতো, তার বাড়িতে কে ছিল। বর্তমানে সূর্য একজন ছোট্ট শিশুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সে মাঝেমধ্যেই সোনা রুপার সঙ্গে খেলতে চায় দীপার কাছে নানান রকম অদ্ভুত বায়না করে। এদিকে সূর্যকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য দীপা কম-কশুর করছে না।
Star Jalsha: Anurager Chhowa:
একদিন ডাক্তারবাবুকে ভালোবেসে সে এই বাড়িতে বউ হয়ে এসেছিল। সেই সময় কেউ তার পাশে না থাকলেও সূর্য থেকেছে। তারপর শুরু হয়ে যায় ভুল বোঝাবুঝি। সূর্যর পুরনো বন্ধু মিশকা তাদের সম্পর্কে খলনায়িকা হয়ে ওঠে। দীপাকে ভুল বুঝতে শুরু করে সূর্য। সূর্যের জীবনে আসে একের পর এক অন্য নারী। কিন্তু সে দীপাকে চরিত্রহীন প্রমাণ করবার জন্য উঠে পড়ে লাগে। ধীরে ধীরে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chowya) প্রতিটা পর্ব অসহ্য হয়ে উঠেছিল দর্শকদের কাছে।
তারা এই সিরিয়াল সমাজের জন্য ক্ষতিকারক বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি কয়েক দিনের জন্য এই সিরিয়াল থেকে বিদায় নেন সূর্য নিজে। কারণ দীপার নায়ক হিসেবে দেখা যায় অর্জুন চক্রবর্তীকে। অর্জুনদার সঙ্গে নিজের নতুন জীবন শুরু না করে বরং ডাক্তার বাবুকে খোঁজার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে দীপা। এদিকে নিজের ছোটবেলার ভালোবাসা না পেয়ে বিদেশে চলে যায় অর্জুন।
Rupa Refuses To Recognize Surya:
দীপার দুই ছোট্ট ছোট্ট মেয়ে সোনা এবং রূপাও তাদের বাবাকে খুঁজতে চেষ্টা করে। একটি রাস্তায় সূর্যের মুখোমুখি হয় দীপা তারপর তাকে শুশ্রূষা করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু মানসিক হাসপাতাল থেকে ফিরে আসতেও সুস্থ হয়নি সূর্য। তবে কোথাও যেন দীপার কাছে এসেই আশ্রয় খুঁজে পায় সূর্য একেই বোধহয় বলে ভালোবাসা। দীপা কারোর কাছেই তাকে ডাক্তারবাবুর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়নি।
এদিকে দীপা হাসপাতালে যাচ্ছে মেয়েদের লুকিয়ে। এটা বুঝতে পেরে যায় সোনা এবং রুপা তাই মায়ের পিছন পিছন বেরিয়ে পড়ে তারা জেদ ধরে। হাসপাতালে গিয়ে তারা দেখতে পায় মা এবং বাবা মুখোমুখি। প্রচন্ড খুশি হয়ে ওঠে দুই মেয়ে। কিন্তু সূর্য যে তখন পাগল প্রায়। তাই সে দুই মেয়েকে চিনতে পারেনা বরং তাদেরকে মারতে যায়। এদিকে হাসপাতালে সকলে হতভম্ব হয়ে যায়।
সোনা কিছু বলতে গেলে এই রুপা তাকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলে এই লোকটিকে আমাদের বাবার মতন দেখতে। তবে উনি আমাদের বাবা নন। রুপা আগে থেকেই বুঝতে পারে, তার মা কোনো বিশেষ কারণে বাবার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করছেন না। এতে বাবা এবং মা উভয়ের বিপদ হতে পারে। এটা বুঝতে পেরেই নিজে সতর্ক হয়ে যায় রুপা। প্রথম থেকেই রুপার অভিনয় এবং তার বুদ্ধিমত্তা নজর কেড়েছিল দর্শকদের। এবারেও যথেষ্ট প্রশংসিত হলো রুপা। সকলেই বলছেন রুপা আসলে দ্বিতীয় লাবণ্য সেনগুপ্ত।