Cyclone: বছরে দুটি সময়ে সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। একটা বর্ষা ঢোকার আগে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি এবং অন্যটি অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি। সাগরের তাপমাত্রা সাধারণত ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বেশি তাপমাত্রা উঠলেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়। যদি কোনো নিম্নচাপ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে, তখন সেটাকে আঞ্চলিক ঝড় বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেটি যদি ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে, তখন সেটাকে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। যদি ঘূর্ণিঝড়ের যাত্রাপথ বেশি হয় তাহলে তার শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। কিন্তু যদি যাত্রাপথ কম হয় তাহলে শক্তি বাড়িয়েই আছড়ে পড়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলে।
৭০ দশকের সময় অত্যন্ত তীব্র একটি ঘূর্ণিঝড় ছিল ভোলা। এই শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। এরপর ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঝড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০০৭ সালে ৭ নভেম্বর উপকূলে আঁচড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় সিডার। আবহাওয়াবিদদের মতে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেশি শক্তিশালী হয়ে পড়ছে। এর বিধ্বংসী আঘাত উপকূলকে তছনছ করে দিচ্ছে। আর এইসবের পিছনে বিজ্ঞানীদের যুক্তি হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র বদলাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে দেশের উপকূলে।
আরও পড়ুন: Cyclone Remal: জন্ম হয়ে গিয়েছে রেমালের! শক্তি বাড়িয়ে রবিতে তাণ্ডব করতে আসছে ঘূর্ণিঝড়
বর্তমানে বেশ কয়েকবছর ধরে যেসব ঘূর্ণিঝড় গুলি সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলি অনেক দিন ধরে শক্তি সঞ্চয় করে রাখছে। সেরকমই একটি উদাহরণ হল আমফান। স্থলভাগে বিপুল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল সেটি। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেইবারে। সমুদ্রের উপরিতল যত গরম হবে এবং তার সঙ্গে হাওয়া যত অনুকূল হবে, ঘূর্ণিঝড় তত বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং সেই শক্তি অনেক দিন ধরে রাখতে পারে। এমনই ধেয়ে আসছে রেমাল। রবিবার রাতেই উপকূলে আঁচড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গুলিতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।