SaReGaMaPa-Haimanti Sukla: জি বাংলায় শুরু হয়েছে সারেগামাপা। দেখতে দেখতে অনেকগুলো সিজেন অতিক্রম করেছে সারেগামাপা। দাদাগিরির শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে সারেগামাপা লিজেন্ড। রথি মহারথীদের নক্ষত্র সমাবেশ খচিত হয়েছে সারেগামাপা। সারেগামাপার একেবারে অগ্রভাগে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি হৈমন্তী শুক্লা(Haimanti Sukla)। এদিন গানের মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করা হয়। কয়েক দশক ধরে তার অসাধারণ কণ্ঠস্বর দ্বারা মানুষকে মোহিত করে যাচ্ছেন তিনি।
সদা হাসিমুখ তার চেহারা কপালে বড় টিপ তার ইউএসপি। প্রথমবার তার রেকর্ড করা গান ছিল এতো কান্না নয় আমার। বিশেষ করে রাগ প্রধান গানের তার জুড়ি মেলা ভার। নজরুল গীতি কন্ঠে ধারণ করে তিনি মাদকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এদিন সারেগামাপার এপিসোডে গায়িকাকে দেখা গেল সাধারণ সাজে। পরনে রয়েছে একটি ক্রিম রঙের লাল পাড় শাড়ি। সঞ্চালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য তাকে আবেদন জানিয়েছিলেন এখনো সারেঙ্গীটা বাজছে গানটা একবার শোনানোর জন্য। সেই কথা রেখে গানও শোনালেন হৈমন্তী(Haimanti Sukla) । সেই সঙ্গে বললেন একটা জিনিস দেখে খুব ভালো লাগছে ৭০-৮০ দশকে গাওয়া গান এখনকার বাচ্চারা গাইছে। এ দিনের পুরো এপিসোডের ভাবনা ছিল সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের।
ইন্দ্রদ্বীপের সুরে অনেক গান গেয়েছেন হৈমন্তী শুক্লা। সেই সব গানের কথা স্মরণ করে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন শিল্পী। এরপর ইন্দ্রদীপ তাকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সম্মান পেয়ে গায়িকা বলে ওঠেন আমার ছেলে আমাকে উত্তরীয় পড়াচ্ছে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে। গানকে ভালোবেসে কোনদিন সংসার করা হয়ে ওঠেনি তার। আজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন হৈমন্তী শুক্লা। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে আক্ষেপ করে বলেছিলেন স্বামী সন্তান ছেলেপুলে হলো না এসব আমি ভাবিনি। আমার অনেক ছেলেপুলে আমাকে সবাই মা বলে ডাকে। এদিন ইন্দ্রদ্বীপের থেকেও সম্মান পেয়ে ভালোবাসা আর সন্তান স্নেহে ভরিয়ে দিয়েছেন এই জীবন্ত কিংবদন্তি।