Kar Kache Koi Moner Kotha: জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হল ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Kotha)। দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস ধরেই এই ধারাবাহিক চলছে জি বাংলার পর্দায়। ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মানালি দে এবং অভিনেতা দ্রোন মুখার্জী। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন বাসবদত্তা চ্যাটার্জি, স্নেহা চ্যাটার্জী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, সৃজনী মিত্র, কুয়াশা সহ আরও অনেকে। ধারাবাহিকে নায়িকা অর্থাৎ মানালির চরিত্রের নাম শিমুল। শিমুলের ক্ষতি করার জন্য প্রথম থেকেই নানান রকম চেষ্টা করছে তারা জা এবং দেওর। ধারাবাহিকে শিমুলের জা এর চরিত্রে অভিনয় করছেন কুয়াশা ও দেওরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সৌনক রায়।
শুরুর দিকে তেমনভাবে দর্শকের মনে জায়গা তৈরি করে নিতে পারেনি এই ধারাবাহিক। কারণ ধারাবাহিকে শুরুতেই দেখানো হয়েছিল শিমুল এবং পরাগের মধ্যে নানান রকম ভুল বোঝাবুঝি, শিমুলের ক্ষতি করার জন্য কিভাবে তার স্বামী নানারকম ফাঁদ তৈরি করেছে সেসব। আর স্বামী স্ত্রীর এই অদ্ভুত সমীকরণের গল্প দেখে দর্শকের একদম পছন্দ হচ্ছিল না ধারাবাহিক (Kar Kache Koi Moner Kotha)। তবে বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্প পাল্টেছে। পরাগের মানসিকতাও পাল্টেছে, বর্তমানে পরাগ ভালো হয়ে উঠেছে। শিমুলকে সমস্ত রকম বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করছে সে।
Kar Kache Koi Moner Kotha New Update:
অন্যদিকে শিমুলকে প্রথম দিন থেকেই অপছন্দ করে পরাগের ভাই পলাশ এবং তার স্ত্রী প্রতীক্ষা। প্রথম দিন তারা নানান রকম চেষ্টা করে গেছে কিভাবে শিমুলকে বিপদে ফেলে যায়। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে পলাশ এবং প্রতীক্ষার ফাঁদে পা দিয়ে শিমুল কিভাবে বিপদে পড়েছে। পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে তাকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি পলাশ এবং প্রতীক্ষার। আদালতে গিয়ে নিজের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী এর বিরুদ্ধে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ দেয় পরাগ।
আর পরাগের সমস্ত প্রমাণ দেখে আদালত শিমুলকে নির্দেশ হিসেবে ঘোষণা করে এবং পলাশ এবং প্রতীক্ষার একই সঙ্গে সাত বছরের সাজা ঘোষণা করে। এরপরই দেখা যায় শিমুলের বন্ধুরা হইহই করতে করতে ঢাক ঢোল বাজিয়ে মালা পরিয়ে তাকে বরণ করে। কিন্তু এত কিছুর পরেও মনের ভাব বদলায় না প্রতীক্ষার। শিমুল ঠিক করে সে প্রতীক্ষাকে আরো একটি সুযোগ দেবে। এবার কি প্রতীক্ষা নিজের সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে সেটাই দেখার অপেক্ষা। অন্যদিকে শিমুল নির্দেশ হয়ে বাড়ি ফিরলে সকলে খুশি হলেও তার শাশুড়ির মুখ ভার। তার শাশুড়ির বৌমার উপর রাগ কেন সে তার ছোট ছেলেকে জেলের ঘানি টানালো।
প্রতীক্ষার দাবি এই বাড়ি হাতানোর জন্যই নাকি পরাগ আর শিমুল এসব প্ল্যান করছে। এরপর শিমুল প্রতীক্ষাকে শেষবারের মতো বলে প্রতীক্ষাকে সেই বাড়িতে থাকতে দেবে না। আর যদি বা থাকতে দেয় তাহলে শিমুলের শর্ত মেনেই থাকতে হবে। এরপর শিমূল কে তার শাশুড়ি কথা শুনাতে এলে রুখে দাঁড়ায় পরাগ। জানায় সব দোষ আসলে কার। শুরুর সময় ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকটি সন্ধে সাড়ে ছয়টা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধারাবাহিকের সময় বদলেছে। এখন এটি রাত সাড়ে নয়টা থেকে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয় (Kar Kache Koi Moner Kotha)।