Kar kache Koi Moner Katha: সুবিধাবাদী শাশুড়ি হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া উচিত মধুবালা দেবীর। এমনটাই বলছেন কার কাছে কই মনের কথা (Kar kache koi moner kotha) ধারাবাহিকের দর্শকরা। একসময় শিমুলের সঙ্গে নানান দুর্ব্যবহার করার পরেও বৌমার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে আবার যেন নিজেকে বদলে ফেলতে শুরু করেন মধুবালা। যে ছোট ছেলে এবং বৌমা তাকে নানান অপমান করে তাদের পাশে থেকে শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তিনি। শিমুলের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে চলে যেতে চায় তার স্বামী পরাগও। ছেলেদের নিজের প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসেন মধুবালা। তবে সেটা করতে গিয়ে তিনি অন্যের চোখে বিষ হয়ে ওঠেন। এবার এমন এক কান্ড করে বসলো মধুবালা যাতে শিমুলের চোখে সে আরো নিচে নেমে গেল। বিয়ের পর নানান কষ্ট দুঃখ সহ্য করতে হয়েছে নায়িকা শিমুলকে।
Madhubala Devi Insult Shimul :
সেই সময় সে তার বাপের বাড়ির কাউকে পাশে পায়নি। মা বৌদি দুজনে তার হয়ে কথা বললেও কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াতে পারেনি। একসময় শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি তাকে আবার শ্বশুর বাড়িতে এনে দাঁড় করায়। তার স্বামী পরাগ নিজের ভুল বুঝতে পেরে বউয়ের পাশে দাঁড়ায়। এমনকি শাশুড়ি বৌমার পাশে দাঁড়িয়ে তার সুখ্যাতি করতে থাকে। যে কোনো বিপদে-আপদে মধুবালা হয়ে উঠেছিলেন শিমুলের সঙ্গী। এমনকি শিমুলের জন্য তার ছেলেদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন তিনি। তবে এবার তিনি এমন এক কাণ্ড ঘটালেন তাতে তার প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছে শিমুলের।
শিমুলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পলাশ এবং প্রতীক্ষা নানান ফন্দি আঁটতে শুরু করছে। কিন্তু একটা ফন্দিওর ধোপে টেকেনি। বারবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলেও অসফল হয়েছেন প্রতীক্ষা এবং পলাশ। তার কারণ তার কাছে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার স্বামী পরাগ। তাকে বারবার পলাশের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আসলে পরাগ জানতে পেরে গিয়েছিল তার ভাই খুন করতে চেয়েছে স্ত্রীকে। পলাশ এবং প্রতীক্ষা যখন শিমুলকে বাড়ি থেকে বার করে দেয় সেই সময় তার হাত ধরেছে শিমুলের স্বামী।
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: মাতৃ দিবসে খুদের মুখ প্রকাশ্যে আনলেন নুসরত; কার মতো দেখতে হলো খুদে ঈশানকে!
তবে বড় ছেলেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে বৌমাকে চরম অপমান করতে থাকেন মধুবালা। শিমুলের উপর যে হামলা হয়েছে তার মূল ষড়যন্ত্র কে করেছেন সেটা আঁচ করতে পেরে সরাসরি পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিমুল। আর তাতেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মধুবালা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন তোমার তো আর সন্তান নেই আর হবে বলে মনেও হয় না। সন্তান নিয়ে শাশুড়ির এই খোটা শুনে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেনি শিমুল। তাই মধুবালার প্রতি সমস্ত বিতৃষ্ণা উপড়ে দিয়ে সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।।