8th Pay Commission:বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে অষ্টম পে কমিশনের ঘোষণা ঘিরে সরকারি কর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বেতন পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা লক্ষাধিক কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য বড় সুখবর হতে পারে। পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। যদিও নির্দিষ্ট সুপারিশ এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আগের কমিশনের তুলনায় আরও বেশি প্রভাব ফেলবে।
কতটা বাড়তে পারে বেতন?
অষ্টম পে কমিশন বাস্তবায়নের পর সরকারি কর্মচারীদের বেতন ঠিক কতটা বাড়তে পারে, তা নিয়ে নানা মহলে হিসেব শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন কমিশনে ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ নামে পরিচিত একটি গুণকের মাধ্যমে বেতন নির্ধারণ হবে। সপ্তম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭, যা প্রায় ২৩-২৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছিল। নতুন কমিশনে এটি ২.৮৬ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
যদি এই অনুমান সত্যি হয়, তাহলে একজন সরকারি কর্মীর ন্যূনতম মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.২৮ হলে ন্যূনতম মূল বেতন হতে পারে ৪১,০৪০ টাকা। তবে, এটি শুধুমাত্র মূল বেতনের হিসাব। অন্যান্য ভাতা, যেমন মহার্ঘ্য ভাতা (DA), বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA), ভ্রমণ ভাতা (TA) যুক্ত হলে মোট বেতন আরও বাড়তে পারে।
পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর
শুধু চাকরিজীবীরাই নয়, এই কমিশনের প্রভাব পড়বে পেনশনভোগীদের উপরও। প্রত্যেক পে কমিশনের সঙ্গে সঙ্গে পেনশনের পরিমাণও সংশোধন করা হয়। যদি নতুন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ নির্ধারণ হয়, তাহলে পেনশনের ক্ষেত্রেও প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে। এর ফলে লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী উপকৃত হবেন।
কবে কার্যকর হবে নতুন কমিশন?
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে অষ্টম পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হতে পারে। যদিও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও নির্ধারিত হয়নি, তবে এটি বাস্তবায়িত হলে কর্মীদের বেতন ও পেনশনে বড়সড় পরিবর্তন আসবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পর এই বিষয়ে সরকার আরও স্পষ্ট অবস্থান নেবে।
শেষ মুহূর্তের বড় চমক
যদিও সরকারি মহলে এই বেতন বৃদ্ধির আলোচনা চলছে, তবে এখনও এটি সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে সরকার হয়তো পুরো ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমোদন নাও দিতে পারে। তবে, সরকারি কর্মীদের দাবি, বাজারমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এবার বড়সড় বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজন। সরকার শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।