Money Making Formula: ভবিষ্যতের একধিক বিষয়ে সঞ্চয় করে রাখত এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের শিক্ষা এবং বিবাহ খরচ হিসেবে অভিভাবকরা টাকা জমিয়ে রাখেন। জমানো অর্থ ব্যাংকে বিনিয়োগ করে রাখেন প্রায় সকলেই। পরবর্তীকালে বেশি রিটার্ন পেতে এই পথে হাঁটেন বিনিয়োগকারীরা। এর জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। এভাবেই ৫০০০ টাকা প্রতি মাসে এসআইপি করে কোটিপতি হতে পারেন যে কেউ।
SIP এর মেয়াদ বাড়ার সাথে টাকার অঙ্ক ব্রোমাগত বাড়তে থাকে। তাই যত বেশি দিন পর্যন্ত সম্ভব SIP চালালে তত বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কম্পাউন্ড অর্থাৎ জটিল সুদে টাকার হিসেব হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি রিটার্ন দেখতে পারেন। আর এই জন্যই SIP যত লম্বা সময়ের জন্য করা যায় ততই লাভ হয় বিনিয়োগকারীদের। এক্ষেত্রে প্রতিবছর SIP এর জমা টাকার পরিমাণ সেট আপ করা যায়। এই সেট আপের মাধ্যমে প্রতি বছরে একটি একটু করে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়।
প্রতি বছর ১০% স্টেপ আপ করলে হতে পারেন কোটিপতি। ৫০০০ টাকা দিয়ে SIP শুরু করলে প্রতি বছর ১০% করে স্টেপ আপ করে যেতে হবে বিনিয়োগকারীকে। এতে ২৫ বছর যেতে না যেতেই কোটিপতি হতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। যদি বার্ষিক ১২% সুদের হারে টাকা বাড়তে থেকে তবে ২৫ বছরে ওই ব্যক্তি ২.১৩ কোটি টাকা পাবেন। যেখানে তার জমা টাকার অংশ হবে মাত্র ৫৯ লক্ষ টাকা। আর ৫৯ লক্ষ টাকার উপর সুদ হিসেবে পাওয়া যাবে ১.৫৪ কোটি টাকা।
SIP থেকে যদি কোনো ব্যক্তি প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ রিটার্ন পান তবে ২৫ বছরে পাওয়া যেতে পারে ৩.২৯ কোটি টাকা। তবে SIP তে বিনিয়োগ করার জন্য মাথায় রাখতে হবে যে এতে বাজার গত ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই বিনিয়োগের আগে সমস্ত রকম শর্ত ভালকরে পড়ে তারপর এগোতে হবে।