Panipuri Water: অস্বস্তিকর গরমে মানুষ নাজেহাল। চৈত্র মাসেই গরমের দাবদাহে যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে কী হতে চলেছে তা কল্পনার বাইরে। পারদ বেড়েই চলেছে। আর গরমে হাসফাসানি অবস্থা। এমতাবস্থায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য প্রচুর জল খাওয়া উচিত বারেবারে চোখেমুখে ঠান্ডা জল দেওয়া দরকার। ফুচকা এমন একটি খবর যার নাম শুনলেই খেতে ইচ্ছা করে। তবে গরমে ফুচকার টক জলের উপকারিতা জানলে আপনিও রোজ ফুচকা খেতে চাইবেন। তবে জেনে নিন এই গরমে ফুচকার গুণমান সম্পর্কে।
Panipuri Water Benefits:
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছেন, ফুচকার টক জল তৈরি করার মূল উপাদান হল তেঁতুল। এছাড়া এতে ব্যবহার হয় পুদিনা পাতা, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং আরও বেশ কিছু মশলা গুঁড়ো। তাই গরমের মধ্যে যখন ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের থেকে মিনারেলস বা খনিজ বের হয়ে যায়। তখন এই ফুচকার জল আমাদের শরীরে সেই মিনারেলস ফিরিয়ে দিতে পারে সহজেই। এছাড়া তেঁতুলের জলের মধ্যে ভিটামিন-C রয়েছে বেশ অনেকটাই। তাই গরম থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে এই ফুচকার টক জল।
এক ফুচকা বিক্রেতা জানিয়েছেন, এই ফুচকার নাম শুনলে অনেকেরই জিভে জল চলে আসে। আর ফুচকা খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। ফুচকার স্বাদ পছন্দ করে থাকে আট থেকে আশি সকলেই। মূলত এই কারণেই গরমের এই সময় বেড়ে যায় ফুচকার বিক্রির পরিমাণ।
তাঁর কথায়, এই সময় টকজল দিয়েই ফুচকা খেতে পছন্দ করেন সবাই। ঘনঘন অ্যাসিডিটি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দূর করে ফুচকার টক জল। শরীরের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই টক জল। ঘন-ঘন সর্দি-কাশি, জ্বরে যাঁদের হয়। তাঁদের জন্যও খুবই উপকারী এই ফুচকার টক জল।”
ফুচকার দোকানের দুই গ্রাহক জানিয়েছেন, গরমের দুপুরে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া এবং পথ চলতি মানুষ সকলেই এটা খেয়ে থাকেন। তবে পরিমাণে সামান্য। একেবারে বেশি মাত্রায় নয়। ফুচকার জল গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে তাই এই গরমে ফুচকা খেলে শরীর ও মন দুটোই চেঞ্জ হয়ে যাবে। যদিও সারা বছরই ফুচকার দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যায় তবে এই গরমে একটু বেশিই ভিড় দেখা যায়।