Neem Phooler Madhu: জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তালিকায় রয়েছে নিম ফুলের মধু। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকে রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। পর্ণা বিয়ে হয়ে যেদিন প্রথম দত্ত বাড়িতে আসে সেই দিন থেকেই বাবুর মা অর্থাৎ সৃজনের মা ভাবতে থাকে ছেলে তার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। ছেলের প্রতি তার খুব গভীর ভালবাসা প্রথম থেকেই দেখেছেন দর্শকরা।
নিত্য দর্শকরা সকলেই জানেন, পর্ণা এখন সন্তানসম্ভবা। শীঘ্রই তিনি মা হতে চলেছেন। গল্প অনুসারে, পর্ণার কারসাজিতে শেষ পর্যন্ত বর্ষাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মা দত্ত বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্ষার এত বড় উপকার করার পরেও পর্ণার প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা বোধ নেই বাবুর মায়ের (Neem Phooler Madhu)। অন্যদিকে দেখা যায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পর্ণার কারসাজির কথা নবনীতা দেবী ওরফে বর্ষা শাশুড়িকে জানিয়ে দেয় অয়ন। যার ফলে বর্ষার উপর শ্বশুর বাড়িতে চড়াও হয় তাঁর শাশুড়ি। এরই মধ্যে এসে গিয়েছে ধারাবাহিকের এক নতুন প্রোমো।
সেখানে দেখা গিয়েছে, অবশেষে দত্ত বাড়িতে আগমণ ঘটেছে এক খুদে সদস্যের। পর্ণা এক ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে প্রবেশ করলো দত্ত বাড়িতে। তবে গোটা পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকলেও নাতনি হওয়া নিয়ে খুশি নন বাবুর মা কৃষ্ণা। আসলে, তিনি প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন ছেলে হোক। কিন্তু তা হয়নি, তাই সে তার নাতিনির দিকে না তাকিয়েই চলে যায়। পর্ণা ভাবে মায়ের মতো বোধ হয় তার ছেলে অর্থাৎ সৃজনও মেয়ে হওয়ায় সন্তুষ্ট নয়। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা হয়নি এবং সৃজন মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে বললো: “আমি খুব খুশি। এই যে ম্যাডাম মায়ের মতো হতে হবে কিন্তু।” তখনই দেখা যায় সেই খুদে সম্মতি স্বরূপ পা দিয়ে লাথি মেরে ওঠে। এই দৃশ্য দেখে সৃজন বলে ওঠে, ‘ওরে বাবা এ যে দেখি মায়ের থেকেও বেশি তার কাটা হবে।’
Neem Phooler Madhu
View this post on Instagram