Mamata Banerjee in Didi No 1: কথাতেই আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে আর এইবার সেই কথাই প্রমাণ করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে রুটি বেলে দেখালেন তিনি। এমনকি শোয়ের সঞ্চালিকা রচনাকে দিয়েও রুটি বেলালেন তিনি। যদিও রুটি বেলা সংক্রান্ত প্রতিযোগীতায় প্রতিযোগী হিসাবে অংশ নেননি তিনি। শোয়ে প্রতিযোগীদের লুচি বেলে ভাজার কথা থাকলেও লুচি ঠিক মত ফুলবে কিনা সেই আশঙ্কায় লুচির বদলে মেনুতে নিয়ে আসা হয় রুটি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রুটি-টুটি বেলতে তিনি পারবেন না। তবে সকলের সঙ্গে গাইবেন, নাচবেন, বাজাবেন এমনকি কবিতাও শোনাবেন। সেই মতো রুটি বেলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাকি প্রতিযোগীরা যথা ডোনা গাঙ্গুলী (Dona Ganguly), গায়িকা অরুন্ধতী হোমচৌধুরী আর শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ডোনার বেলা রুটিই গোলাকৃতিতে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তবে মমতা প্রতিযোগিতায় অংশ না-নিলে রচনা তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন রুটি বেলতে। মমতা উল্টে রচনাকেই বলেন রুটি বেলে দেখাতে। সটান বলেন, ‘‘আগে তুমি রুটি বেলে দেখাও!’’ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলেননি রচনা। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীও রুটি বেলে দেখিয়ে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দেখা গেলেও সেখানে প্রতিযোগী নন বরং বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। মূল প্রতিযোগিতা হয়েছে ডোনা অরুন্ধতী এবং শ্রীরাধার মধ্যে। শুটিং শেষ করে বেরিয়েই রচনাকে তিনি জানিয়ে দেন, খুব ভালো প্রোগ্রাম হয়েছে।
Mamata Banerjee in Didi No 1 Photo
জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো দিদি নাম্বার ১-এর মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে দেখা যাবে তা প্রায় সকলেই জানতেন। বুধবার সকালেই শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছেছিলেন মমতা। আগে থেকেই শুটিং ফ্লোরের বাইরে এবং ভিতরে ছিল কড়া নজরদারি। বেলা ১২টা নাগাদ ফ্লোরে পৌঁছন মমতা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাদে শুটিং শেষ করে নিজের কাজে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, গল্প রসিকতা এবং আড্ডার মেজাজেই শুট করেছেন মমতা। সময় পেলেই গল্প করেছেন সৌরভ ঘরনি ডোনা এবং অরুন্ধতী এবং শ্রীরাধার সঙ্গে।
Mamata Banerjee in Didi No 1 Photo
তবে শোয়ের অন্দরে ঠিক কী কী করেছেন মমতা! এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উদ্যোক্তা সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিজের শৈশব জীবন থেকে শুরু করে বর্তমান দিনের কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে এসেছে তাঁর জীবন সংগ্রামের একাধিক কাহিনী। এছাড়া অবসর সময়ে কীভাবে কাটান মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। মূলত রাজ্যের মেয়েদের উজ্জীবিত করাই ছিল এই শোয়ের মূল লক্ষ। প্রায় ১৫ বছর ধরে জি বাংলার জনপ্রিয় এই রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করছেন রচনা ব্যানার্জি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই টলিপাড়ায় গুজব ছড়িয়েছিল যে, রচনার শোয়ে আসতে পারেন রাজ্যের দিদি। আর এইবার সেই গুজবই সত্যি হলো।
সর্বশেষ খবর টলিউড অনলাইনের-এর গুগল নিউজ চ্যানেলে।
সব খবর সবার আগে জানতে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের Google News। এছাড়াও যুক্ত হতে পারবেন সরাসরি আমাদের WhatsApp Channel এও।