জি বাংলার(zee bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ( kar kach koi moner kotha) । টানটান উত্তেজনা মূলক পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিল পর্দায়। এই ধারাবাহিক মূলত কাল্পনিকতা থেকে বেরিয়ে বস্তুবিকতার ছোঁয়া অনেক বেশি। মেয়েদের বিবাহ পরবর্তী জীবনের সংগ্রাম নিয়েই এই গল্প। বাবা – মায়ের আদরের রাজকন্যাকে বিশ্বাস করে যার হাতে তুলে দেয়ে তার ঠিক কতটা যত্নে রাখে তাকে কেন্দ্র করেই এই গল্প।
শিমুল বিয়ে করে আসার পর থেকে তাকে নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিক দুই অত্যাচারের সমুখীন হতে হয়ে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি, স্বামী, ও দেওর তাকে নানা ভাবে অত্যাচার করে।সম্প্রতি একটি পর্বে দেখানো হয়েছে বাড়িতে শিমুল নেই। কেউ জানে না সে কোথায় গেছে। পলাশ বলে ‘তোর বউয়ের মনে হয় চরিত্রের ঠিক নেই।’
তারপর সে শতদ্রুর কথা জানায়। পলাশ জানায় শিমুল হয়তো তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে গেছে। এরপর যখন শিমুল বাড়ি ফেরে তখন পরিবারের সবাই তার উদ্দেশ্যে প্রশ্নবান ছুঁড়ে দেয়। পরিবারের সকলের সমানে সে শিমুলকে প্রশ্ন করে শতদ্রু কে? প্রথম দিকে শিমুল এইসব কথার মানে বুঝতে পারে না। তাই তাকে ন্যাকা বলে সম্বোধন করে তার স্বামী পরাগ।
এরপরই দেখানো হচ্ছে শিমুলের হাত ধরে হির হির করে টানতে টানতে তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসে পরাগ এবং তার কাছে জানতে চায় যে শতদ্রুপ কে? তার আগের প্রেম সম্বন্ধে সে জানতে চায়। শিমুল এইসব কথার উত্তরই তাকে জানায় ‘সেটা থেকে থাকলেও বিয়ের আগে। এখন যে যার মত সেটেল্ড।’ সেই সঙ্গে সে এটাও বলে যে সেই সম্পর্ক টেকেনি বলেই সে এই বিয়ে করেছিল। এরপরই পরাগ শিমুলের গায়ে হাত তোলে।
এরপর শিমুল তার স্বামী পরাগ কে ‘জানোয়ার’ বলে সম্বোধন করে। এবং সে বলে এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে। সেই সঙ্গে শিমুল জানিয়ে দেয় যে সে পুলিশের কাছে যাবে, ও পরাগের নামে ডায়েরী করবে। এবার দেখার পালা ধারাবাহিকে শিমুল কিভাবে তার স্বামীকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়।