জি বাংলার এখন মূল আকর্ষণ হল কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকটি। শিমুল যেভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তা দেখে রীতিমতো মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। ধারাবাহিক এখন যা দেখানো হচ্ছে তাতে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গেছেন দর্শকরা কারণ শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে প্রথম বারের জন্য এসেছে, তার প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রু।
শতদ্রুকে দেখে শিমুল কিছুটা হলেও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। কিন্তু পুতুলদি থাকার জন্য সে কিছু বলতে পারেনি। শতদ্রু নিমন্ত্রণ করেই চলে যাচ্ছিল কিন্তু পুতুল দি বারবার বলতে থাকে শতদ্রুকে যেনো চা মিষ্টি জল খাইয়ে তবেই ছাড়া হয়। পুতুলদের কথা রাখতে গিয়ে শতদ্রু বাড়ি যেতে পারে না এবং পুতুল ঘুমোতে চলে যায় এবং শিমুল চা করতে।
শিমুল চা করে ফিরে এসে দেখে, পুতুল দিয়ে ঘুমোতে চলে গেছে। চা নিয়ে কথা বলতে বলতে শিমুল এবং শতদ্রোর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শিমুল অনেক কথাই শতদ্রুকে বলে এবং শতদ্রু বলে তার এবার চলে যাওয়াই উচিত। কিন্তু তখন শিমুল বলে দাড়াও মিষ্টিটা খেয়ে যাও না হলে আমার ননদ রাগ করবে। এই কথা শুনে শতদ্রু বলে না তার মিষ্টি খেতে একেবারেই ইচ্ছা করছে না।। কিন্তু শিমুল জোর করে একটা মিষ্টি শতদ্রুকে খাইয়ে দেবার চেষ্টা করে এবং ঠিক তখনই সেখানে ঢুকে পড়ে পলাশ এবং প্রতীক্ষা।
পলাশ আগে থেকেই পড়াগকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিল তাই কিছুক্ষণ বাদে সেখানে চলে আসে পড়াগও। সামান্য একটু মিষ্টি খাওয়ানোর ঘটনাটিকে একেবারে অন্যরকম ভাবে দেখানো হয় সকলের সামনে। পাশের বাড়ি থেকে কাকীমা এবং কাকিমার মেয়েও চলে আসে। সবাই যখন চলে আসে তখন পলাশ বার বার করে বলে এই দেখো কি দুশ্চরিত্র মেয়েকে আমরা ঘরে তুলে নিয়ে এসেছি। এই কারণেই হয়তো মাকে তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে ঘুরতে পাঠিয়ে দিয়েছে বৌদি।
পলাশের মুখে এই কথা শুনে শিমুল নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা এবং একটি লাঠি নিয়ে পলাশকে মারতে চলে আসে। শিমুলের এমন রূপ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় পলাশ এবং প্রতীক্ষা। পরাগ বারবার করে বলে ওকে ছেড়ে দে ও কিন্তু যা খুশি তাই করে ফেলতে পারে। কালকে মা আসুক তারপর ওর ব্যবস্থা করব আমরা। এই কথা বলে সেখান থেকে সকলে চলে যায় এবং রান্নাঘরে তালা মেরে দেয়। শিমুল এবং তার ননদ পুতুল একা পড়ে থাকে বাড়িতে। আগামী দিনে শাশুড়ি গেলে শিমুলের কপালে কি দুর্ভোগ আছে তা দেখার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই এইভাবে বানিয়ে নিন দোকানের মত “চিকেন ডাকবাংলো”, শিখে নিন রেসিপি