Maa Shyamasundari of Kolkata: উমার পরেই আসেন শ্যামা। আঁধার হয়ে আলোর উৎসবে আলোয় ভরিয়ে দিতে আসেন তিনি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা হলেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুজিত হন কালি। শুধুমাত্র মন্দিরেই নয় অনেক পাড়ায় পাড়ায় হয় কালীপুজো। এছাড়া বারোয়ারি এবং বনেদী বাড়িতেও রয়েছে কালীপুজোর চল। কালীপুজোর উৎপত্তি নিয়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী। ঠিক তেমনি উত্তর কলকাতার শুকিয়া স্ট্রিটের শ্যামা সুন্দরী কালী মন্দিরের কাহিনী শুনলে গায়ে দেবে কাটা।
দেবী কালি আসলে এখানে জীবন্ত। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এখানে দেবীকে পূজা করা হয়, একটি ছোট্ট বালিকা রূপে। সে খেতে ভালোবাসে ডিম। মাছ মাংস নয় তাকে ভোগ-প্রশাদে দেওয়া হয় ডিম। এমনকি নিয়ম করে এখানে অম্বুবাচী পালন করা হয়। গর্ভ গৃহের ভিতরে রয়েছে মায়ের এক ছোট্ট মূর্তি তার সাথে সহাবস্থান করছেন জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা।
উত্তর কলকাতার এই মন্দিরের নানানকথা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। দুই বেলা পাত পেড়ে এখানে ভোগ খেয়ে থাকেন মা। যত মানুষই মন্দিরে আসুক না কেন তাদেরকে দেওয়া হয় প্রসাদ। এখানে আসলে কেউ নাকি না খেয়ে ফেরেন না। শুধুমাত্র কালিপুজো নয় অন্যান্য বিশেষ তিথিতে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়।
স্থানীয় লোক বিশ্বাস অনুযায়ী অমাবস্যার রাতে মা নাকি কালীমন্দিরে হেঁটে বেড়ান নুপুর পড়ে। অনেকেই সেই নুপুরের শব্দ শুনেছেন। প্রতি আমাবস্যায় একটি করে প্রদীপ জ্বালিয়ে তার আরাধনা করা হয়। উত্তর কলকাতার এই অলৌকিক মন্দিরে প্রতি বছর কালী পূজোর সময় বহু ভক্তের সমাগম হয়। ভোগ প্রসাদে থাকে বিভিন্নতা। এবারে কি আপনার পরিকল্পনা রয়েছে কালী পুজোতে কলকাতা ভ্রমনের? তবে ছোট্ট দেবিকে জীবন্ত রূপে প্রত্যক্ষ করতে ছুটে আসতেই পারেন সুখিয়া স্ট্রিটের এই শ্যামসুন্দরী মন্দিরে!