Cyclone Dana: এখনও সম্পূর্ণ রূপ পায়নি ডানা তবুও বিপর্যয় ও দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে সজাগ প্রশাসন। শুরু হয়েছে বিপদকালিন আগাম প্রস্তুতি। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গেলে এইটি শক্তি যুগিয়ে ওড়িশার পুরী থেকে বঙ্গের সাগরদীপের মধ্যেকার কোনো উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়বে। তাই সতর্ক দুই রাজ্য। আর এই জন্যই মঙ্গলবার থেকেই পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হচ্ছে সৈকত শহর পূরীকে। পর্যটকদের সময় থাকতে নিজ নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ রেখেছে ওড়িশা সরকার। এছাড়া আগামী বুধ , বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটকদের পুরী যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছেন প্রশাসন।
বাংলার দুই উপকূলবর্তী জেলাতেও রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই বাড়তি সতর্কতা রাখা হচ্ছে। ঘন ঘন মাইকিং করা হচ্ছে সমুদ্র নিকটবর্তী সমস্ত জেলা গুলোতেও। আশ্রয়কেন্দ্র, পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধের যোগান রাখা হচ্ছে। এছাড়া একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে রাজ্য সরকার। এমতবস্থায় আগামী কয়েকদিন দিঘা ও নিকটবর্তী সমুদ্র এলাকায় পর্যটকদের জলে নামে উপর বিধি নিষেধ লাগু করা হয়েছে।
এই অবস্থায় ফসলের ক্ষয় ক্ষতির এড়াতেও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কৃষি দপ্তর সোমবারই কৃষকদের ৮০% বেশি পাকা ধান কেটে নিতে বলেছেন। এছাড়া অন্যান্য ফসলের বাগানে জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া ওড়িশার গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, কেওনঝর, ঢেঙ্কানল, যোজপুর , আঙ্গুল, খোরদা , নোয়াগর ও কটক এলাকায় সমস্ত সরকারি স্কুল আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় জন্য বিপর্যয় দপ্তরের ১৪ টি দল পশ্চিমবঙ্গে এবং ১১টি দল ওড়িশায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণাবর্ত আছড়ে পড়লে সুবিধা মত এই দল গুলিকে অপারেশনে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: BSNL: Jio, Airtel এখন অতীত, মহাকাশে বার্তা পাঠিয়ে তাক লাগালো BSNL