Post Office Scheme: পেটের তাগিদে যেমন উপার্জন করে মানুষ ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য নানান রকম স্কিমে টাকা রেখে থাকেন। তবে সকলেই চান কোন লাভজনক স্কিমে টাকা রাখতে যাতে অল্প সময়ের মধ্যে তার পরিমাণ বাড়ে। এর জন্য রয়েছে সরকারি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস। এছাড়া বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড, বেসরকারি ব্যাঙ্কে রয়েছে একাধিক সুযোগ।
তবে বিনিয়োগ করা মুখের কথা নয় এর পিছনে রয়েছে ঝুঁকি। মনে রাখা উচিত অধিক লাভের আশায় কোন বিনিয়োগ সংস্থায় টাকা রাখলে রাতারাতি তা গায়েব হয়ে যেতে পারে। লোভে পড়ে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখলেও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এদিকে অবশ্য ভরসা করা যায় পোস্ট অফিসকে। কথায় বলে রাখলে টাকা ডাকঘরে লক্ষ্মী থাকেন সংসারে।
পোস্ট অফিসে (Post Office Scheme) রয়েছে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষের জন্য এমন কিছু স্কিম যেগুলি থেকে পাওয়া যায় নিশ্চিত ভালো রিটার্ন। একই সঙ্গে টাকা থাকে সুরক্ষিত। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে দেওয়া হয়ে থাকে মোটা সুদ। আপনি যদি প্রতিমাসে কিংবা প্রতি তিন মাসে অর্থ জমাতে পারেন তবে খেতে পারবেন লাভের গুড়। মেয়াদ শেষে জমা থাকার উপরে পাওয়া যায় বেশ ভালো রিটার্ন। এই ধরনের রেকর্ডিং ডিপোজিট এক বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদের হতে পারে। পোস্ট অফিসের পাঁচ বছরের মেয়াদে রয়েছে রেকারিং ডিপোজিট।
যেখানে সুদের হার ৬.৭০ শতাংশ। সম্প্রতি এই সুদের হার বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র সরকার। এজন্য অবশ্যই নিকটস্থ পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেই খুলতে পারবেন রেকর্ডিং ডিপোজিট। পাঁচ বছরের জন্য যদি প্রতিমাসে ২২০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারেন তবেই কেল্লাফতে। বছরে ২৬ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারবেন। অর্থাৎ পাঁচ বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে এক লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। সুদ হিসেবে পাওয়া যাবে ২৫ হাজার ৪ টাকা। মেয়াদ পূর্ণ হলে রিটার্ন পাওয়া যাবে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪ টাকা।
শুধু তাই নয় এই জমাকৃত রাশির উপরে পাওয়া যাবে ঋণ। মেয়ের বিয়ে হোক কিংবা ব্যবসার কাজে যদি ঋণ নিতে চান সেখানেও থাকছে বিশেষ সুবিধা। তবে তিন বছর মেয়াদের পর ঋণ নিতে পারবেন। আপনি যদি এই রেকারিং ডিপোজিট খুলতে চান। তবে চলে যান পোস্ট অফিসে। অ্যাকাউন্ট খুলে নিন এরপর যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ এবং পরিচয়াদি দিয়ে খুলে ফেলুন অ্যাকাউন্ট।