Primary Teachers: বর্তমানে এরকম বহু শিক্ষক শিক্ষিকার রয়েছে যারা স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতেও প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে থাকেন। এই ধরনের বহু অভিযোগ এসেছে এর আগে। এবারে সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নেওয়া হলো বড় পদক্ষেপ।
সরকারি স্কুলে পড়ানোর বদলে মোটা অংকের মাইনে পায় শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারপরেও তারা বাড়িতে বসে ছাত্র ছাত্রী পড়াচ্ছে। এবার থেকে বাড়িতে আর টিউশন পড়াতে পারবেন না কোন সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা। যদি তারপরেও কেউ ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চাকরি থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে।
গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি বারবার এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। এবার সংসদ নির্দেশিকা জারি করায় খুশি ওই সংগঠন। রাজ্য গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সভাপতি হীরালাল মণ্ডল বলেন, “এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য ডিআই-দেরও আবেদন জানাব। তবেই শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্নীতি-মুক্ত হবে।” সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সরকারের এই নির্দেশ পালন হলে বহু প্রাথমিক শিক্ষকেরই চাকরি যাবে।
এই নিয়ম প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্যও। কারণ অনেকেই এখনো স্কুলে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি নিজের বাড়িতে টিউশন পড়ান যা স্বাভাবিকভাবেই বেআইনি। ইতিমধ্যেই তদন্তে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার নাম উঠে এসেছে। আর তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এমনকি অনেকের চাকরি ও বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা টিউশন পড়ান, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তা না মানলে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠন।