Hilsa Fish: বর্ষা মানেই সবার প্রথমে বাঙালি মনে একটাই জিনিসের নাম মাথায় আসে, সেটা হলো ইলিশ মাছ (Hilsa Fish)। সারা বছর ধরে বাঙালিরা এই বর্ষার সময় ইলিশ মাছ খাবার জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন। তবে যে হারে বাজারে ইলিশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে করে মধ্যবিত্ত বাড়িতে ইলিশ খাওয়া দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইতিমধ্যে দুটি সুসংবাদ পাওয়া গিয়েছে।
যাতে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বাঙালি। প্রথমত, সামুদ্রিক মাছের উপর করের পরিমাণ কমেছে, দ্বিতীয়ত, মৎস্যজীবীদের জালে নাকি অনেক ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। আর এতেই ইলিশের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছে প্রত্যেকে। এবারে প্রশ্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষের এই ধারণা কি সত্যি হবে? যদি সত্যিও হয় তাহলে কবে কমবে ইলিশ মাছের দাম? কবে প্রত্যেক বাড়িতে ঢুকবে ইলিশ মাছ?
এবারের বাজেটে সামুদ্রিক মাছের উপর ৫ শতাংশ কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই সামুদ্রিক মাছ এবং ইলিশ মাছের (Hilsa Fish) দাম কমার সম্ভাবনা দেখছে সাধারণ মানুষ। এখন বর্ষাকাল চলছে আর বর্ষাকাল মানেই ইলিশের মরসুম। শহর থেকে জেলার সব বাজারে ইলিশের আমদানি শুরু হয়েছে, সামুদ্রিক মাছের কর কমার ফলে মাছের দাম কমবে বলে আশা করছেন অনেকেই।
তবে শুধু ইলিশ মাছ নয়, পাশাপাশি অসংখ্য সামুদ্রিক মাছও মাছের দাম কমতে পারে। দীঘার সামগ্রিক এলাকায় ইতিমধ্যেই সামুদ্রিক মাছের ঢুকছে। দিঘার বাজার যেমন শঙ্করপুর, ডায়মন্ড হারবার থেকে সামুদ্রিক মাছ আসে। ইলিশ ছাড়াও নানা জাতের ভোলা, ভেটকি, পমফ্রেট, চিংড়ি, পার্শের মতো মাছের আমদানি হয়। ইলিশের আমদানি শুরু হয়ে গিয়েছে এই বাজারে। দাম রয়েছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে।
১ কিলো বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকা কেজিতে। তবে মৎস্যজীবীদের মতে ইলিশের যোগান বাড়লে দাম আরো অনেকটা কমবে। সেক্ষেত্রে এক কিলো ইলিশ অনেকটাই সস্তায় পাওয়া যেতে পারে। তখন মধ্যবিত্তের নাগালেই থাকবে ইলিশের দাম। আপাতত কলকাতার সমস্ত বাজারে ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া।