Whatsapp: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা ভেবে একের পর এক নতুন ফিচার যুক্ত করেছে Whatsapp। আরো বেশি করাকরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের নানান নিয়ম। তবে এবার ভারতবর্ষের হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের জন্য খারাপ খবর। বন্ধ হয়ে যেতে পারে Whatsapp অ্যাকাউন্ট। কিন্তু কেন ভারতের জন্য এই শাস্তি। মেসেজ ইনক্রিপশন ভঙ্গ করার খুলিয়া জারি হলে ভারতে পরিষেবা বিঘ্নিত এমনকি বন্ধ হতে পারে বলেও জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এবার রাজনীতির দরবারে এই হোয়াটসঅ্যাপ।
রাজ্যসভায় হোয়াটসঅ্যাপ:
রাজ্যসভায় হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য জানতে চাইলেন বিরোধী কংগ্রেস সংসদ। ভারতে পরিষেবা বন্ধ নিয়ে জুকেরবার্গের সংস্থা কি পরিকল্পনা করছে সরাসরি জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। আর তার এই রনংদেহী ভঙ্গি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তাকে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন এই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ কোন কথা জানায়নি।
প্রয়োজনে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে, হোয়াটসঅ্যাপকে। আর তাতে প্রাইভেসি নিয়ে বিশেষ সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত ব্যবহারকারীদের এই নিয়ে বিশেষ না ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে এই নির্দেশিকা নিয়ে সোজা দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ। সেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় ইনক্রিপশন ভাঙ্গার কোনরকম নির্দেশ যদি সরকার দেয় তবে ভারতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিষেবা বন্ধ করে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ।
Whatsapp এর বিবৃতি:
তারপরেই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে তা নিয়ে লিখিত চেয়েছে কংগ্রেস সংসদ। কিন্তু এখনো এ নিয়ে কোন বিবৃতি দেয়নি মার্কযুকেরবার্গের সংস্থা বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় আইটি রুল ২০২১ যদি লাগু না হয় তবে মেসেজের উৎপত্তিস্থল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।
Whatsapp এর মেসেজ অন্যান্য প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সমাজে উস্কানিমূলক অশান্তি তৈরি হতে পারে। তবে এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এখনো কোন নির্দেশ না দেওয়ায় নিঃসন্দেহে Whatsapp ব্যবহার করা যেতে পারে বলেই মত প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।