Biriyani: বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না ভূ-ভারতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিরিয়ানির (Biriyani) নাম শুনলেই যেন জিভে জল চলে আসে। যে কোনো সময় যে কোনো অনুষ্ঠানে এক প্লেট বিরিয়ানি যেন সকলের মনে আনন্দ এনে দেয়। কিন্তু জানেন কি এই বিরিয়ানিতেই মেশানো হচ্ছে বিষ! সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এক বিরিয়ানির দোকানে হানা দিতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।
জানা গিয়েছে, বিরিয়ানিতে (Biriyani) মেশানো হচ্ছে ফুড কালার। আতরের নামে মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক। বিরিয়ানির গন্ধ ও খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই এই রাসায়নিকের প্রয়োগ। ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে এমনটাই জানিয়েছে পুর প্রশাসন।
বস্তুত, রায়গঞ্জ শহরের এমজি রোড, এনএস রোড, বিসিরায় সরণি, প্রণবানন্দ সরনি সহ একাধিক জায়গায় খুলেছে বিরিয়ানির দোকান। প্রায় সব জায়গাতেই সুগন্ধী বিরিয়ানির টানে খেতে যান সাধারণ মানুষ। আর তাদেরই করা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও খাদ্য সুরক্ষা দফতর। এরপরই বেশিরভাগ বিরিয়ানি তৈরির কারখানা বা রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নজরে আসে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের।
সেইসঙ্গে ফুড কালার ও বিরিয়ানি ফ্লেবার হিসেবে যে সমস্ত তরল রাসায়নিক মেশানো হয় বিরিয়ানিতে দেখে গিয়েছে সেইগুলিতেও মেয়াদ সংক্রান্ত কোনও লেবেল নেই এমনটাই দাবি খাদ্য দফতরের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ও বিষাক্ত বলে শনাক্ত করা হয় এই সকল তরলকে। এর ফলে কার্যত ক্ষিপ্ত বিরিয়ানি প্রেমীরা। তাঁদের কথায় এই অভিযান বজায় রাখা উচিত প্রশাসনের। কড়া পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
চিকিৎসকদের দাবি, এই বিষাক্ত রাসায়নিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাচ্চারা। এমনকি এতে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। অভিযানের পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এখন ব্যবসায়ীদের ফাইন করে নোটিশ করা হচ্ছে না। অনেককেই সতর্ক করেছি।
কেউ কেউ এরপরও সাবধান হচ্ছে না। এরপর আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” পাশাপাশি রায়গঞ্জের পুর প্রশাসকের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে অভিযান চালাবে পুরসভও। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।